এক নজরে ঘোড়াঘাট উপজেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়
উপজেলাটির নির্বাচনী এলাকা হচ্ছে দিনাজপুর-৬। উপজেলাটির সীমানা-উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পাঁচবিবি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে হাকিমপুর উপজেলা।
এ উপজেলার অধিকাংশ অধিবাসী কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মোট জমির পরিমাণ ১৪,৮৭৪ হেক্টর। দু’ফসলী ১১,৩৬৩ হেক্টর, তিন ফসলী ৮৭৪ হেক্টর। বহু দিন আগে থেকেই এ উপজেলা ‘খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা’ হিসেবে গণ্য। উপজেলার মোট পরিবারের ৮৫ ভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার অধিবাসীদের প্রধান খাদ্য ভাত, এর পরেই আছে গমের রুটি।
এ উপজেলায় ১১৫টি মৌজা ও ১৪৩টি গ্রাম আছে। চারটি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলা গঠিত। ইউনিয়নগুলো হলো- বুলাকীপুর, পালশা, সিংড়া ও ঘোড়াঘাট। ২০০৫ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের একটি পৌরসভা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১১ সালে আদমশুমারী জরিপ মোতাবেক এ উপজেলার জনসংখ্যা ১,১৭,৭৪০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৫৯.০০১ জন ও মহিলা৫৮,৭৩৯ জন। পরিবার (খানা) সংখ্যা ৩০,০৭৭। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে লোক বসতি ৭৯২ জনের উর্ধ্বে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৫ ভাগ মুসলমান, ১৫ ভাগ উপজাতি বা আদিবাসী এবং অবশিষ্ট ১০ ভাগ হিন্দু ও খ্রিস্টান।
উপজেলার ভূ-প্রকৃতি তিন ধরণের। যথা- লালমাটি, পলি, এঁটেল ও দোঁয়াশ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে পালশার কিছু অংশ, ঘোড়াঘাটের অধিকাংশ এবং সিংড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ লালমাটির দ্বারা গঠিত। পালশার ৮০ ভাগ, বুলাকীপুর ও সিংড়ার বেশির ভাগ এবং ঘোড়াঘাটের কিছু অংশ এঁটেল দোয়াঁশ মাটি। বুলাকীপুর ও সিংড়া ইউনিয়নের ৪০ ভাগ এলাকা পলিমাটি দ্বারা গঠিত। লেভেল অনুযায়ী উঁচু ও মধ্যম জমির পরিমাণ বেশি। স্থানীয় ভাষায় লালমাটির এলাকা খিয়ার নামে অভিহিত। এ মাটিতে ধান, ভুট্টা, গম ভাল জন্মে। আবার করতোয়া নদীর পূর্ব তীর সংলগ্ন ভূমি এলাকা পলি নামে খ্যাত। এ মাটিতে ধান, পাট, গম কলাই ও বিভিন্ন সবজীর আবাদ হয়।
অত্র দপ্তর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ের ঠিক পেছনেই অবস্থিত। অত্র দপ্তরের অধীন আছে ০৪(চার০ টি এলএসডি যথাক্রমে- ডুগডুগী এলএসডি , রাণীগঞ্জ এলএসডি, হড়িপাড়াহাট এলএসডি ও ঘোড়াঘাট এলএসডি। এলএসডি গুলো আবার এক জন ওসি -এলএসডি ও তার অন্যান্য স্টাফের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। অত্র উপজেলার কার্যাবলী নিম্নরূপ-
নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ০৩(তিন) টি ওএমএস পয়েন্টে ০১(এক) টন করে ৩০(ত্রিশ) টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় হচ্ছে। ০৩(তিন)টি পয়েন্ট হচ্ছে ওসমানপুর বাজার, টি এন্ড টি মোড় ও দক্ষিন জয়দেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজার। অনুরূপভাবে নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অধীন কার্ডধারীদের মাঝে ১৫(পনেরো) টাকা কেজি দরে ৩০(ত্রিশ) কেজি চাল ০৮(আট)টি বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ০৮(আট)টি বিক্রয় কেন্দ্র হচ্ছে-বলগাড়ি বাজার, হড়িপাড়াহাট, ডুগডুগী, মরিচা মোড়, রাণীগঞ্জ বাজার, চাদপাড়া বাজার, ঘুঘূড়া মোড়, ও পাটশাও বাজার। সাধারনত এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ০৫-০৬ মাস চলে। তবে স্বাভাবিক ভাবে মার্চ, এপ্রিল ও মে এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় হতে কার্ডধারীরা সাধারনত ২৪(চব্বিশ) মাস এবং প্রতি মাসে ৩০(ত্রিশ) কেজি করে চাল সরবরাহে অত্র দপ্তর সহায়ক ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে অত্র কার্যালয় ভিজিএফ খাতে চাল বিতরণ করে থাকে। এটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করা হয়। এছাড়া কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের অধীন চাহিদা মাফিক চাল সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
তথ্য সূত্রঃ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস